কিশোরগঞ্জের ইটনা হাওরে ৩৩ কেভি বৈদ্যুতিক টাওয়ারের চূড়ায় এক যুবক উঠে পড়ায় তিন উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করেছে কিশোরগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। আজ বুধবার সকালে ইটনা উপজেলার এলেংজুরী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে ওই ব্যক্তিকে নামাতে ঘটনাস্থলে যাচ্ছে ইটনা ফায়ার সার্ভিস।
রাজধানীর কূটনীতিকপাড়ায় কনস্টেবল মনিরুল হক হত্যায় অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য মো. কাওছার আলী একাধিকবার পুলিশের শৃঙ্খলাভঙ্গের অপরাধ করেছেন। তিনি অন্তত চারবার কর্মস্থল থেকে উধাও হয়ে গিয়েছিলেন। এর মধ্যে সর্বোচ্চ টানা ১৫ দিনও অনুপস্থিত ছিলেন। এসব ঘটনায় কাওছার লঘু ও গুরু দণ্ড ভোগ করেছেন।
মানসিক সমস্যার ঝুঁকির মধ্যে কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা ছাড়া আর গতানুগতিক প্রশিক্ষণে সীমাবদ্ধ থেকে এসএমটি ৪০–এর মতো আধুনিক স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র হাতে ধরিয়ে পুলিশকে মানুষের মধ্যে ছেড়ে দেওয়া, তাও কূটনৈতিক এলাকায়, নিরাপদ কিনা সেবিষয়ে কোনো জবাব পাওয়া যায়নি।
কাউসারের পরিবারের সদস্যরা বলছেন, চাকরিরত অবস্থায় প্রায় ১৪ বছর ধরে মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত ছিলেন। তিনি সরকারিভাবে হাসপাতালে গিয়ে মানসিক রোগের চিকিৎসাও নিয়েছেন।
আল্লাহ আমার কথা শুনেছে। পাগল ছেলেটাকে আমার বুকে ফিরিয়ে দিয়েছে। খালি বুকটা যেন শান্তিতে ভরে গেল!’ হারানো ছেলে আবু হানজালাকে বুকে জড়িয়ে কথাগুলো বলছিলেন মা মেহেরুন নেসা। ২০১০ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় মাথায় আঘাত পেয়ে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছিলেন আবু হানজালা...
পাঁচ বছর পর মায়ের কোলে ফিরছেন আবু হানজালা (৩২)। ছেলেকে ফিরে পাওয়ার আশাই ছেড়ে দিয়েছিলেন মা মেহেরুন নেসা (৭০)। পাঁচ বছর আগে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন হানজালা। মানসিক ভারসাম্যহীন হানজালা অবশেষে মিয়ানমার থেকে ফিরছেন।
কথাবার্তা কম বলেন তরুণ। বৃদ্ধ এক ব্যক্তিকে দেখিয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) এক সদস্য জানতে চাইলেন, ‘লোকটি কে? তাঁকে চেন?’ এবার কথা ফুটল তরুণের মুখে, ‘আব্বা’। মুখে তাঁর হাসি। ২২ বছর বয়সী তরুণ এগিয়ে গেলেন, প্রায় এক বছর পর ধরলেন বাবার হাত। সেই হাত আর ছাড়ছিলেন না।
মানুষের বিভিন্ন মানসিক ব্যাধির মধ্যে একটি ট্রাইকোটিলোম্যানিয়া। এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি চুল, ভ্রু বা শরীরের অন্য অংশ থেকে লোম টেনে তোলার চেষ্টা করে। এই বাতিক এতটাই অপ্রতিরোধ্য যে রোগী সচেতনভাবে চাইলেও চুল টানা বন্ধ করতে পারেন না।
একসময় এই সমাজের একজন সাধারণ মানুষকে বোঝানো খুব কঠিন হতো, শরীরের মতো মনেরও অসুখ হতে পারে। তবে দিন বদলেছে। মানসিক স্বাস্থ্যকে মানুষ গুরুত্ব দিতে শুরু করেছে। শুরু হয়েছে মানসিক রোগের ভালো মানের চিকিৎসা। কোমরব্যথার সঙ্গে এ কথাগুলোর যোগাযোগ আছে।
বিষণ্নতা প্রতিরোধ ও প্রতিকার করতে এর সঙ্গে দেহের এবং মস্তিষ্কের সম্পর্কগুলো আরও ভালোভাবে বোঝা জরুরি। তবে এ নিয়ে খুব বেশি গবেষণা নেই। আর যেসব গবেষণা রয়েছে তার নমুনার আকার ছোট।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ২০২০ সালে একটি গবেষণা পরিচালনা করেছিল। গবেষণার ফলাফল থেকে জানা যায়, বাংলাদেশে মানসিক রোগীর হার ১৮ শতাংশ। গবেষকেরা বলছেন, জেনারেশন জেডের মানসিক স্বাস্থ্যের লড়াই ভিন্ন।
শিশুদের আদর–স্নেহ করা মানুষের স্বাভাবিক প্রবৃত্তি। তবে স্নেহের আতিশয্যে অনেকে বাড়াবাড়িও করে ফেলেন। শিশুকে দেখলে দৌড়ে গিয়ে কোলে নেওয়া বা চুমু দেওয়া পর্যন্ত হয়তো স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া ধরা যেতে পারে। কিন্তু অনেকে স্নেহ প্রকাশে বেশ আগ্রাসী ভাব দেখান। যেমন— শক্ত করে চেপে ধরা বা চিমটি কাটা।
আমার মেয়ের বয়স ১৭। সে রাজধানীর একটি স্বনামধন্য স্কুলে দশম শ্রেণিতে পড়ছে। আমি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ১৫ বছর ধরে চাকরি করছি। আমার স্বামী সরকারি কর্মকর্তা। চাকরির কারণে মেয়েকে বেশি সময় দিতে না পারলেও তার সঙ্গে ছোট থেকেই আমি কোয়ালিটি টাইম কাটানোর চেষ্টা করেছি।
দেশে শিশু-কিশোরদের মধ্যে ১২ দশমিক ৬ শতাংশ মানসিক রোগে ভুগছে। আর প্রাপ্তবয়স্কদের ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ মানসিক রোগে আক্রান্ত। দেশে বিশালসংখ্যক জনগোষ্ঠী মানসিক রোগী আক্রান্ত হলেও তাদের চিকিৎসার জন্য সাইকিয়াট্রিস্ট (মনোব্যাধির চিকিৎসক) ও সাইকোলজিস্টের (মনোবিজ্ঞানী) অপ্রতুলতা রয়েছে।
নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে মোবাইলে ফ্রি-ফায়ার গেমে আসক্তি থেকে মানসিক ভারসাম্য হারানো এক তরুণ সড়কে থাকা অন্তত ২০টি গাড়ি ভাঙচুর করেছে। আজ মঙ্গলবার সকালে মোহনগঞ্জ পৌরশহরের বসুন্ধরা মোড়ে ভাঙচুরের এ ঘটে।
গাড়িতে ওঠার আগে যমজ শিশুদের পরানো হয় গোলাপি রঙের নতুন জামা। আর মানসিক ভারসাম্যহীন তাদের মাকে পরানো হয় লাল আর সবুজের প্রিন্ট শাড়ি। এদিকে আইনি জটিলতায় নবজাতকদের এত দিন নাম রাখা না গেলেও এদিন সকালে শিশু দুটির নাম রাখা হয়ে। হাসপাতাল ছাড়ার আগে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে যমজ দুই শিশুর নাম রাখা
সিঙ্গেল প্যারেন্টের বড় সমস্যা হলো, একা হাতে সব সামলে মানসিকভাবে শক্ত থাকা। আমি ১০ বছর ধরে যুদ্ধ করে যাচ্ছি এর সঙ্গে। মাঝে মাঝে ক্লান্তি লাগে। অনেক ক্ষেত্রেই সন্তান আমাকে ভুল বোঝে। বুঝতে পারি, বাইরের মানুষের প্রভাবে সে এমন করে। অনেক সময় তার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে ফেলি। আমি তাকে সময় দেওয়ার চেষ্টা করি